বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্ত ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনসহ ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আলম আশেক।
এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলায় অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ এবং অনেকে আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী এবং অন্যজন শ্রমিক। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং ট্রাফিক পুলিশবক্স সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কোটা সংস্কার ও আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে নানান স্লোগান দিতে থাকেন। এক ঘণ্টার মধ্যেই হাজারখানেক শিক্ষার্থী জমায়েত হন সেখানে
বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ–যুবলীগের একটি মিছিল বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে আসে। মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এভাবে চলে সংঘর্ষ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সরে পড়ে। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানেগ্যাসের শেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এছাড়া নগরীর নতুন ব্রীজ, মুরাদপুর, আন্দরকিল্লা ও লালদিঘি এলাকায় কোটা বাতিল আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুর পাল্লার কোন যানবাহন শহর ছেড়ে যেতে পারেনি। বাহির থেকে ও কোন জান বাহন শহরে প্রবেশ করেনি। সকাল থেকে শহরে জান বাহন চলাচল ফাঁক ছিল। তবে বেলা ১২ টার পর কিছু কিছু যান বাহন চলতে শুরু করে। রেল ও আকাশ যোগাযোগ স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা|
Leave a Reply